জয়ীতা দে সরকার
দূর্গাপুর, বর্ধমান
আজানে গোধূলি
পনেরো বছর আগে-
বিদায় বলেছি তোমায়...চিরবিদায়!!
বড়ো দীর্ঘ এই পথ-
একা আমি...সম্বলে আঁসু স্মৃতিময়।
আজও মনে আছে ঠিক-
আবছা আলোর আজান গোধূলি বেলায়।
বিস্ময় দৃষ্টি বিনিময়-
ফিরে দেখি পিছে আজও সেই প্রথম পরিচয়।
দেখা মিলবে না আর-
তবু সন্ধ্যার কোনে দেখা আলো!
সাধ করে রাখা নাম ছিলো-
'গোধূলি'..বলে দিয়ে গেলো।।
একরাশ কালো চুলে ঢাকা পিঠ-
সাদা ফ্রকে ঢাকা হাঁটু,পায়েতে নূপুর,
কালো কাজলে আঁকা দুটি আঁখি-
ছুটে যাওয়া হরিণী তোলে নূপুরের সুর।
অযথা অনেক কাছাকাছি আসা-
বৃথা বহু ভালোবাসা, দাম্ভিক আমি,
মন আনচান করা তপ্ত দুপুরে-
আমার কিশোর হৃদয়ের 'গোধূলি'
তুমি।
এরপর,কোনও
এক পূর্ণিমা রাতে-
কেড়ে নিলো সবটুকু-বাঁচার রসদ,
পরে থাকা শান্ত-নিথর দেহখানি-
মৃদু হাসি ঠোঁটে বাজে মৃত্যু সরদ।
বিধাতার গোধূলি আকাশে-
এক সাথে বাজে শঙ্খ,আজানের সুর,
তাই কোথায় আলাদা দুইয়ে-
কেন মোর ভালোবাসা আজ এতো দূর!!
শুধু, শুধু
জাতিবিদ্বেষ?
শেষ হলো প্রেম-জীবনের শুরু তে!
'সাবিনা',আজও ভুলিনি তোমায়-
পার্থক্য কিসে নামেতে-নামেতে না কি
কোরানে-গীতাতে!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন