ডঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়
বৈদ্যবাটি, হুগলী
কালবৈশাখীর বিকালে তুমি
রোদ-চাদরে মুড়ি দিয়ে
সারা দুপুর হেসে গেলে,
নিজের গায়ে লক্ষ তারা
আনন্দেতে ছড়িয়ে দিলে ।
বালিশ-ছেঁড়া মেঘগুলো সব
তোমার গায়ে কাটল বিলি,
নীলাম্বরী রঙ্গপ্রিয়া
হাসলে তখন খিলি খিলি ।
আমায় দেখে গভীর প্রেমে
চাইলে মধুর নয়ন মেলে,
বাসনু ভাল তোমায় আমি,
বাসনু ভাল সবায় ফেলে ।
হঠাৎ কেন ছায়া দেখি
দিবা-শেষের সাঁঝটিতে,
অস্তরাগে লজ্জারাঙ্গা
পশ্চিমের কোণটিতে ?
আঁধার–কালো তোমার মুখে
অভিমানের চিহ্ন পাই,
এলোমেলো উড়ছে হাওয়ায়
চুলের গোছা উড়ছে তাই ।
বজ্রকালো মেঘবালিশে
মুখটি রেখে ফোঁপালে,
কড় কড় কড় বাজটি পড়ে
জগৎ গেল রসাতলে ।
কমল বোঝা অভিমানের
অশ্রুধারা বইল যখন,
বইছে বাতাস শোঁ শোঁ করে
দেখছি বসে ঝড়ের নাচন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন