প্রথম বর্ষ, শারদ সংখ্যা, ১২ অক্টোবর' ২০১৫

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫

কবিতা







ডঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়
                      বৈদ্যবাটি, হুগলী


কালবৈশাখীর বিকালে তুমি


রোদ-চাদরে মুড়ি দিয়ে
সারা দুপুর হেসে গেলে,
নিজের গায়ে লক্ষ তারা
আনন্দেতে ছড়িয়ে দিলে ।

বালিশ-ছেঁড়া মেঘগুলো সব
তোমার গায়ে কাটল বিলি,
নীলাম্বরী রঙ্গপ্রিয়া
হাসলে তখন খিলি খিলি ।

আমায় দেখে গভীর প্রেমে
চাইলে মধুর নয়ন মেলে,
বাসনু ভাল তোমায় আমি,
বাসনু ভাল সবায় ফেলে ।

হঠাৎ কেন ছায়া দেখি
দিবা-শেষের সাঁঝটিতে,
অস্তরাগে লজ্জারাঙ্গা
পশ্চিমের কোণটিতে ?

আঁধারকালো তোমার মুখে
অভিমানের চিহ্ন পাই,
এলোমেলো উড়ছে হাওয়ায়
চুলের গোছা উড়ছে তাই ।

বজ্রকালো মেঘবালিশে
মুখটি রেখে ফোঁপালে,
কড় কড় কড় বাজটি পড়ে
জগৎ গেল রসাতলে ।

কমল বোঝা অভিমানের
অশ্রুধারা বইল যখন,
বইছে বাতাস শোঁ শোঁ করে
দেখছি বসে ঝড়ের নাচন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন