প্রথম বর্ষ, শারদ সংখ্যা, ১২ অক্টোবর' ২০১৫

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কাদের বেশী
# পুরুষদের চেয়ে নারীদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি
# ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের
# একটি স্তনে ক্যান্সার হলে অপরটিও আক্রান্ত হতে পারে
# জীনগত কারণে
# অস্বাভাবিক মোটা হলে
# অল্প বয়সে মাসিক হলে
# বেশি বয়সে মনোপজ হলে
# বেশি বয়সে প্রথম বাচ্চা নিলে ৩০ বছরের পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া মহিলাদের থেকে অনেক বেশি
# যারা সন্তানকে কখনো স্তন্য পান করাননি তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি হয়
# অবিবাহিতা বা সন্তানহীনা মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি
# একাধারে অনেক দিন জন্ম নিরোধক বড়ি খেলেও স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে
# যেসব নারী হরমোন থেরাপী নেন
# মদ্য পান করলে
লক্ষণ
নিচের লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তারের কাছে যান
# স্তনে নতুন এবং অস্বাভাবিক মাংসপিন্ড অনুভব করলে
# পরবর্তী মাসিক পার হয়ে গেলেও সেই মাংসপিন্ড মিলিয়ে না গেলে
# পিন্ড আরও বড় এবং শক্ত হলে
# মাংসপিন্ডের সাথে স্তনে ব্যথা অনুভব করলে
# যে বুকে ব্যথা সেদিকের হাত ফুলে গেলে  
# স্তনের বোঁটা থেকে অনবরত রক্ত বা তরল নির্গত হলে
# স্তনের ত্বকে পরিবর্তন দেখা দিলে
# স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে
# বুকে ফুলকপির মত কোনরকম ঘা হলে
স্তন ক্যান্সারের প্রতিকার
যেহেতু এ রোগটির নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনো জানা যায়নি, তাই এটি এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো উপায়ও বলা যায় না তবে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিজেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো কেবল জীবনধারার পরিবর্তন বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব এছাড়া এমন কিছু বিষয় আছে যা মেনে চললে স্তন ক্যান্সার প্রতিকার করা সম্ভব
মেনে চলুন নিম্নোক্ত বিষয়-
# ২০ বছর বয়স থেকে নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করুন
# ৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করুন
# সন্তানকে বুকের দুধ পান করান নিয়মিত
# খাবার দাবারের ক্ষেত্রে চর্বিযুক্ত খাবার পরিত্যাগ করুন
# ফলমূল এবং সবজি বেশি খাওয়ার অভ্যাস করুন
# ভিটামিন এবং সিজাতীয় ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করুন
# যেসব খাবারে বেটা ক্যারোটিন রয়েছে, যেমন গাজর, মিষ্টি আলু এবং সবুজ শাক বেশি বেশি খাওয়ার অভ্যাস করুন  
# নিয়মিত ব্যায়াম করুন
# যাদের ওজন বেশি তাদের অবশ্যই ওজন কমাতে হবে
# মানসিক চাপ থাকলে সাইকোথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন

# ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ করুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন